ইখতিয়ার উদ্দিন মো: বখতিয়ার খলজি। তিনি যেভাবে ভারতে শক্তিশালী হলেন

 



মধ্যযুগে ভারতিয় উপমহাদেশে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজি ছিলেন অন্যতম 

সৈনিক জেনারেল এবং প্রথম মুসলিম যিনি বাংলা ও বিহার জয় করেছিলেন। 

খুব অল্প সময়ের মধ্যে তুর্কি এই সৈনিক জেনারেল ভারত উপমহাদেশে কিভাবে শক্তিশালী ওয়ে ওঠেন ? 

এর কারণ হতে পারে--মধ্যযুগে আফগানিস্তান, তুরস্কসহ গজনী, খোরাসান প্রভৃতি অঞ্চলে যুদ্ধবিগ্রহ চলমান থাকায়, সেখান থেকে বহু অধিবাসী দেশত্যাগ করে ভারতে চলে আসে এবং ভাগ্যের অন্বেষণে ঘোরাফেরা করতে থাকে। ঔ সব অধিবাসীরা বখতিয়ারের বীরত্বের খ্যাতি শুনতে পায় এবং দলে দলে বখতিয়ারের সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। এভাবে তিনি  সহজেই শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। অন্যদিক বখতিয়ারের খ্যাতির খবর কুতুবউদ্দিনের দরবারে পৌঁছলে তিনি তাকে পরিচ্ছদসহ প্রচুর সম্মান প্রদর্শন করেন। এই সম্মান ও সমর্থন তাকে আরও অনুপ্রেরণা যোগায়। 

একদিন তিনি দু’শ অশ্বারোহী নিয়ে বিহার দুর্গ অভিমুখে যাত্রা করেন এবং দুর্গদ্বারে উপস্থিত হওয়ার পর প্রবল আক্রমণ শুরু হয়। স্বীয় শক্তি ও সাহসের বলে তিনি দুর্গদ্বার ভেদ করে অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং বিহার জয় করেন। 

বিহার জয়ের পর তিনি কুতুবউদ্দিনের দরবারে হাজির হন। মুহাম্মদ ঘুরীর অন্যতম প্রতিনিধি ছিলেন কুতুবউদ্দিন আইবেক। কুতুবউদ্দিন বখতিয়ারকে অনেক সম্মান ও পুরস্কিত করেন। 

বিহার ও পাশ্ববর্তী এলাকা জয়ের ফলে খিলজীর নাম অনান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভারতের অনান্য শাসকরা আতঙ্কে দিন কাটাতে থাকে।  রায় লক্ষন সেন তখন বাংলার শাসক ছিলেন। একদিন তার দরবারের পন্ডিতরা বললেন যে, তাদের প্রাচীন গ্রন্থে লিখিত আছে বাংলা একদিন তুর্কীদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়ে তাদের অধিনস্থ হয়ে পরবে। 

রাজা পন্ডিতদের জিজ্ঞেস করলেন তাদের প্রাচীন গ্রন্থে বাংলা বিজয়ী তুর্কীর কোনো রূপ বা পরিচিতি আছে কিনা। পন্ডিতেরা বললেন, যে তুর্কী বীর বাংলা বিজয় করবেন, সে  আকৃতিতে হবে খাটো, দেখতে সাধারণ এবং তার হাতদ্বয় হাঁটু পর্যন্ত লম্বা হবে। লক্ষণ সেন বিহারে গোয়েন্দা পাঠিয়ে বখতিয়ার খিলজি সম্পর্কে অনূরূপ বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত হন।  

বাংলার পন্ডিতেরা রাজাকে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বললেন। কিন্তু রাজা রাজ্য ছেড়ে যেতে রাজী হলেন না। কিন্তু ব্রাহ্মণপন্ডিতেরা রাজাকে ফেলে চলে গেলেন এবং যে যেখানে পারলেন নিরাপদ আশ্রয় নিলেন।

যখন সমগ্র উত্তর ভারত তুর্কীদের অধিনস্থ ছিল এবং বখতিয়ার খিলজিও বিহার পর্যন্ত জয় করে ফেলেছেন। তাই বাংলার রাজা রায় লক্ষন সেন তুর্কি আক্রমণে আতঙ্কে ছিলেন।

অবশেষে অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সাথে বখতিয়ার বাংলার রাজধানী নদীয়ায় পৌঁছে বাংলা জয় করে ফেলেন। পরবর্তী ভিডিওতে বখতিয়ার খিলজির এই অনন্য আকস্মিক ও বিস্ময়কর

বাংলা অভিযানের বিস্তারিত ঘটনা জানানো হবে। তাই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন।


Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.