মদিনা সনদ ও বিশ্ব মানবাধিকার। মানবাধিকার আজও প্রশ্নের মুখে




বিশ্বজুড়ে আলোচিত এক শব্দের নাম মানবাধিকার।  জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী,  জন্মগতভাবে সকল মানুষ স্বাধীন এবং সমান সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। মানবাধিকার মূলত স্বতঃসিদ্ধ ও অলঙ্ঘনীয় হলেও ইতিহাস লগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন যুদ্ধ, সংঘাত ও হানাহানি বরাবর মানবাধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এদিকে বিশ্বজুড়ে মানব অধিকারের কথা উচ্চশির করলেও নিয়ন্ত্রক ও শাসকদের হাতেই  লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। 

বর্তমান সময়েও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বার্থ ও ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের জন্য জনগণের দ্বারা স্বীকৃত অধিকার গুলো হরণ ও দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া দুর্বল জাতি গুলোর উপর সবল জাতীর আচারণও মানবঅধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। 

 বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার সনদ হিসেবে বলা হয় সাইরাস সিলিন্ডার যা ৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের রাজা কর্তৃক প্রণীত হয়েছিল। 

তবে মানবাধিকারের ভিত্তি প্রথম স্থাপিত হয়েছিল ৬২২ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব নবীর মদিনা সনদের মাধ্যমে। মদিনা সনদে মোট ৪৭-টি অনুচ্ছেদ আছে। এই ৪৭-টি অনুচ্ছেদ এর মধ্যে সুস্পষ্টভাবে কিছু অনুচ্ছেদ সরাসরি মানবাধিকারকে উল্লেখ করে। 

মদিনা সনদের উল্লেখযোগ্য কিছু অনুচ্ছেদ যা মানবাধিকার কে সমর্থন করে সেগুলো হল :-


*সনদে স্বাক্ষরকারী সকল সম্প্রদায় একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।

*সব নাগরিক পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

*নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।

*সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও ধর্ষণ নিষিদ্ধ।

*কোনো লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে। তার কারণে অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না।

*দুর্বল ও অসহায়দের সর্বোতভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে।

এছাড়া ১২১৫ সালে সম্পাদিত ইংল্যান্ডের রাজা জন ও বিত্তশালী ব্যারনদের মধ্যে সম্পাদিত ম্যাগনাকার্টা চুক্তি, ১৬২৮ সালের পিটিশন অফ রাইটস এবং ১৬৮৯ সালের বিল অফ রাইটস মানবাধিকারের অন্যতম দলিল হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.