ইউরোপের মুসলিম শাষণ কেমন ছিল?

 


ইউরোপের বেশ কিছু অঞ্চলে ৭১১ থেকে ১৪৯২ সাল পর্যন্ত ৭৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুসলিম শাসনের অধীনে ছিল। তার দ্রুত সাফল্য বাস্তবায়ন তথা তারেকের স্পেন অভিযান বিশ্বের মধ্যযুগীয় সামরিক ইতিহাসে একটি অনন্য স্থান অধিকার করে।

ইউরোপে মুসলিম শাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য  বড় আশীর্বাদ ছিল।  ইউরোপে মুসললিম শাসনামলে কোন প্রকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রথা ছিল না। পরিবর্তে, মুসলমানরা করের উপর অগ্রগামী  ব্যবস্থা চালু করেছিল, যা শীঘ্রই ইউরোপে সমৃদ্ধি এনে পশ্চিমে একটি মডেল দেশে পরিণত করেছিল। 

খ্রিস্টানদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নিজস্ব বিচারক ব্যাবস্থা প্রচলিত ছিল। পাবলিক সার্ভিসে প্রবেশের জন্য সকল সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ ছিল।  প্রচলিত দাসত্ব প্রথাগুলো বাতিল করা হয়েছিল এবং ন্যায্য মজুরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। উৎপাদিত পণ্যের এক পঞ্চমাংশ কর কমানো হয়েছিল।  যে কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে সে তার দাসত্ব থেকে মুক্তি পেত।  বিপুল সংখ্যক স্প্যানিয়ার্ড ও ইউরোপিয়রা তাদের প্রভুদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ইহুদি এবং খ্রিস্টানের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। 

কর্ডোবা সে সময়ে ইউরোপের প্রধান শহর হয়ে ওঠে, একজন খ্রিস্টান ঔতিহাসিক লিখেছেন: "মুরস তথা মুসলমানরা কর্ডোভার সেই বিস্ময়কর রাজ্যকে সংগঠিত করেছিল, যা ছিল মধ্যযুগের বিস্ময়কর এবং যখন সমস্ত ইউরোপ বর্বর অজ্ঞতা এবং কলহ -বিবাদে নিমজ্জিত ছিল, তখন তারা শিক্ষা ও সভ্যতার মশাল উজ্জ্বল করেছিল। 

খলিফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিকমুসা বিন নুসাইর এবং তারিক বিন জিয়াদকে দামেস্কে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু যখন তারা রাজধানীতে পৌঁছল, খলিফা মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। তারা খলিফাকে ভদ্রভাবে সম্মানিত করেছিলেন কিন্তু তিনি শীঘ্রই মারা গেলেন। ৭১৫ সালে খলিফা সুলাইমান খলিফা হিসাবে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর তিনি  এই দুই সেনাপতির বিরুদ্ধে যান এবং তাদের সকল সুযোগ -সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন।

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.