যে কারণে ইইউ ভিসা কড়াকড়ির তালিকায় পরতে পারে বাংলাদেশ | কি কি সুবিধা বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশ?
সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশন স্বল্পমেয়াদী ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনটি দেশের উপর কড়াকড়ি আরোপ করতে চায়। এ তিনটি দেশের মধ্যে রয়েছে ইরাক, গাম্বিয়া ও বাংলাদেশ।
এক বিবৃতির মাধ্যমে ইউরোপীয় কমিশন জানায় যে বাংলাদেশী নাগরিকদের স্বল্পমেয়াদী ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে চায় ই.ই.উ। তবে হঠাৎ কেন কড়াকড়ি করা হবে, এর কারণ সম্পর্কে জানা যায়, ২০১৭ সালে ইউরোপীয় কমিশন ও বাংলাদেশের সাথে স্ট্যান্ডার্ড অব প্রসিডিউর তথা এস.ও.পি চুক্তি হয়। এই চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদান প্রদান এবং জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার প্রত্যাশা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
প্রস্তাবিত কড়াকড়ি আওতায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের স্বল্পমেয়াদী ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
কড়াকড়ি কার্যকর হলে যে সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশী ভিসা আবেদনকারীরা, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ---
- কিছু বিশেষ বিভাগের আবেদনকারীরা বিশেষ নথি জমা দেবার ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন না
- ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা ভিসা ফি মওকুফের সুবিধা পাবেন না
- আগের মতো ১৫ দিনের মধ্যে ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত জানার সুবিধা থাকবে না
- মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার সুবিধা, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য বৈধ ছিল, আর থাকবে না
এক্ষেত্রে কোন উদ্দেশ্যে স্বল্পমেয়াদী ভিসার আবেন করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রেও ভিসা প্রক্রিয়ায় কোন গুরুত্ব পাবে না। অর্থাৎ পর্যটন, ব্যবসা, পড়াশোনা বা গবেষণার ক্ষেত্রেও স্বল্পমেয়াদী ভিসা প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে না।
তবে যেসব বাংলাদেশী নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে কোন সদস্য রাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই নাগরিক হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে ১৯৭৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ইউরোপ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও মাত্র ১২০ জন দেশে ফিরে যায়। ২০২০ সালে আরো ৯,৪০০ বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পরেও মাত্র ৫১৫ জন দেশে ফেরে, বলে জানায় ইনফো-ইমিগ্রেন্ট্স। তবে বাকিরা যে সবাই ইউরোপীয় ইউনিয়নেই অবস্থান করছে এমনটা ভাবছে না ইউরোপীয় কমিশন। হয়তো অনেকেই নিবন্ধন ছাড়াই দেশে চলে গিয়েছে। তবে এর সংখ্যা খুবই সামান্য।