কল্প-বিজ্ঞানে এলিয়েন: অ্যাস্ট্রো ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে কি তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব?



 রাতের খোলা আকাশের দিকে তাকালে  কোটি-কোটি তারকারাজির মেলায় আমাদের একটি প্রশ্ন জাগে - এই মহাবিশ্বে আর কি কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে? যদি থেকে থাকে, তাহলে কেমন হতে পারে তাদের অস্তিত্ব? যুগের পর যুগ ধরে এই প্রশ্নের উত্তর খুজছেন বিজ্ঞানীরা।   

জোহান কেপলার থেকে শুরু করে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন এযুগের স্টিফেন হকিং পর্যন্ত।  তবুও এই প্রশ্নের সূরাহা আজও পাওয়া যাই নি। 

বাস্তবে তাদের সন্ধান না মিললেও গল্প-কাহিনী এবং বিজ্ঞানীদের কল্পনায় স্থান পেয়েছে ভিনগ্রহের প্রাণী তথা এলিয়েন। 

ভিনগ্রহের প্রাণী এলিয়েন নিয়ে উল্লেখযোগ্য চলচিত্র  স্টার ট্রেক এবং দি ব্লব।  চলচিত্র দুটিতে এলিয়েনের খোঁজে মানুষের ব্যাকুল প্রচেষ্টা ও তাদের সম্পর্কে কাল্পনিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। 

বিস্তীর্ণ এই মহাকাশে অনেক পৃথিবী সাদৃশ গ্রহ ও উপগ্রহ পাওয়া গিয়েছে যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব মিলতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। 

বিশ শতকে রেডিও সিস্টেম টেকনোলজি উন্নত হওয়ায় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের অন্য কোন গ্রহ বা উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তার সন্ধান চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এলিয়েনের উদ্যেশ্যে পৃথিবী থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। 

পৃথিবী থেকে এসব বার্তা প্রায় সর্বোচ্চ ২৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে পাঠানো হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় ১৯৯৯, ২০০১, ২০০৩, এবং ২০০৮ সালে মহাবিশ্বে বার্তা পাঠিয়েছে মানুষ।

 এইসব বার্তায় মানুষ ও পৃথিবীর সভ্যতা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।  রেডিও সিস্টেমে এসব বার্তা যদি মহাবিশ্বে কোন উন্নত প্রাণীর কাছে পৌছায়,  তাহলে তারা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারবে। 

মহাকাশে ভিনগ্রহের প্রাণীর অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি প্রকল্প ও প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।  এসব প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে  এলেন টেলিস্কোপ, সেরেনডিপ, ব্রেকথ্রু লিসেন, ফাস্ট, নিরোসেটি, সিটি হোম, সিটি নেট ইত্যাদি। 

আবার মহাবিশ্বের অন্য কোন গ্রহ হতে উন্নত জাতের প্রাণী গুলো যদি আমাদের পৃথিবীতে বার্তা সংকেত পাঠায়। সে সংকেত গুলো ডিকোড করার সামর্থ মানুষের থাকতে হবে।

 যেখানে পৃথিবীতেই দেশ এবং জাতিভেদে ভাষা ভিন্ন হয়। সেখানে  অন্য কোন গ্রহের সভ্যতা থেকে যে বার্তা আসবে সেটির ভাষা সম্পূর্ণ অমিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বেশ কিছুদিন ধরে এ্যারিস্টো-ল্যাঙ্গুয়েজ তথা জ্যোতি  ভাষাতত্ত্বের উন্নায়নে কাজ করা হচ্ছে। 

কম্পিউটারের ভাষা যেমন সিএসএস, পাইথুন ইত্যাদির  মাধ্যমে মানুষের সাথে ডিজিটাল ডিভাইস গুলোর সম্পর্ক গড়া সম্ভব হয়েছে। সেরূপভাবে,  এ্যারিস্ট্রো-ল্যাংগেজ রপ্ত করতে পারলে সহজেই পৃথিবীর মানুষ ভিনগ্রহের প্রাণীদের সাথে যোগাযোগের সেতুবন্ধন গড়তে  সক্ষম হবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানিরা।  ১৯৭৭ সালের wow signal জ্যোতি- ভাষাতত্বের বিষয়টাকে আরও জোড়ালোভাবে দাবি করে।










Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.