২০ বছর পর আফগানিস্তানে আবারো তালেবানদের শাষণ, পক্ষে বিপক্ষে যে রাষ্ট্রগুলো
কিছুটা নাটকীয় ভাবে আফগানিস্তানের কাবুল দখল করে তালেবান গোষ্ঠী। কোন প্রকার গুলি বিনিময় বা যুদ্ধ ছাড়াই ১৫, আগষ্ট ২০২১ এ তারা কাবুল দখল করে নেয়।
দির্ঘ বিশ বছর পর তালেবানদের এমন উৎ্থানে সংকিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো। তাই নতুন করে সমিকরণ করতে হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই তালেবানদের এমন উথ্থানের পক্ষে, বিপক্ষে ইঙ্গিত দিয়েছে অনেক রাষ্ট্র।
বিষয়টা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠকে ভারত তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। ভারত জানিয়েছে, আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে, ভারত তাদের স্বকৃত দিতে রাজি নয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ১৮ ও ১৯ আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সন্তাসবাদ ও শান্তি আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন।
তবে দেওবন্দী ও ইসলামী মৌলবাদ আদর্শে গঠিত তালেবান-সরকার ২০২০ সালের শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে দেশ পরিচালনায় মনোযোগ দিবে বলে আস্বস্ত করেছে তালেবানরা।
ইতিমধ্যেই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পাঁচ দেশের ইঙ্গিত মিলেছে। এদের মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্ক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
নারী ও কিশোরীদের মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালে এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দিলে তালেবান সরকারকে শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
তবে এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঘোর বিরোধিতা করছে ভারত। ইতিমধ্যেই ভারত ও আফগানিস্তানের রাজনৈতিক বিরোধিতা শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক বিরোধে রূপ নিয়েছে। আপাদত ভারত আফগানিস্তানের মধ্যে পণ্য পরিবহনসহ আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অরগানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তালেবানদের পক্ষে। তিনি জানিয়েছেন, তালেবান আফগানিস্তানে জনগণের সরকার গঠন করলে তাদের সাহার্য্যার্থে বাংলাদেশও এগিয়ে আসবে এবং বন্ধুত্বের দরজা খোলা রয়েছে তাদের জন্যে।