জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ নভেম্বরেই উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হওয়ার পথে
হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পর এই বছরের নভেম্বরে উৎক্ষেপিত হচ্ছে আরও শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব!
১৯৯৬ সালে টেলিস্কোপটি তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়। এটি তৈরি করতে ১৭ টি দেশে একযোগে কাজ করছে যার নেতৃত্বে রয়েছে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্থা।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ অবলোহিত বিকিরণও পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। হাবল টেলিস্কোপসহ অন্য কোন টেলিস্কোপের দ্বারা অবলোহিত বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এটি মহাআকাশ পর্যবেক্ষণ করবে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এর দ্বারা আরো নিবিড় ভাবে ছায়াপথের জন্ম, বিবর্তন, নক্ষত্র ও গ্রহ সৃষ্টি সংক্রান্ত গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আমাদের সৌরজাগতিক রহস্য, সোলার সিস্টেম, গ্যালাক্সিসহ বেশ কিছু ঘটনার কারণ বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে টেলিস্কোপটি।
টেলিস্কোপটির নাম রাখা হয়েছে জেমস ওয়েব নামে এক বিজ্ঞানীর নামানুসারে যিনি নাসার দ্বিতীয় প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন এবং অ্যাপোলো অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
টেলিস্কোপটি নির্মাণে বিজ্ঞানীরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যথেষ্ট অগ্রগতি দেখিয়েছেন। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
ডিপ্লায়বেল টাওয়ার, অ্যাপট অপট্রিক্স এবং ইউটেলাইজ়্ড প্যালেড স্ট্রাকচারের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার পথে, সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালের নভেম্বরই মহাআকাশে উৎক্ষেপিত হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব।
টেলিস্কোপটি নভেম্বরে সম্পন্ন হলে ফ্রান্সের গুয়েনা অঞ্চল থেকে শক্তিশালী এরিয়ানা ফাইভ রকেটে করে উৎক্ষেপন করা হবে। টেলিস্কোপটি ডিজাইন, গঠন এবং পাঁচ বছরের জন্যে উড্ডয়নে প্রায় ৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে।