উচ্চমাত্রার স্বুসাধু মাংসের জন্যে যে গুরুগুলোর খ্যাতি বিশ্বব্যাপি
বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্য ও চামড়া শিল্প উৎপাদনের পাশাপাশি আমিসের যোগানদাতা হিসাবে ভূমিকা পালন করে থাকে গরু। গরুর মাংসে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ২০ টি অ্যামিনো এ্যাসিডই উপস্থিত রয়েছে। এছাড়া ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ও খনিজ লবণ বিদ্যামান।
বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটির উপরে গরু রয়েছে। সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গরু রয়েছে ব্রাজিলে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত এবং তৃতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশ বিশ্বের এগারতম।
গরুর মাংস উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রেও ব্রাজিল প্রথম, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।
আজ আমরা জানবো বিশ্বের উন্নত মানের কিছু গরু যেগুলো উচ্চমাত্রায় সুস্বাদু মাংস দিয়ে থাকে বলে এদের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে।
স্কটল্যান্ডের ব্ল্যাক অ্যঙ্কুশ অন্যতম মানের গরু। ব্লাক অ্যাঙ্গুস মান ও স্বাদে অতুলনীয়। এই জাতের গরুগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অত্যধিক। স্কটল্যান্ডের তীব্র শীত এবং বৌরি আবহাওয়াতে এরা সহজেই মেনে নিয়েছে। প্রতিটি গরুর ওজন ৮০০ কেজি হতে ১০০০ কেজি প্রর্যন্ত হয়ে থাকে।
আরেক জাতির উন্নত মানের গরু হচ্ছে বৃটেনের হেয়ার ফোর্ড।
পশ্চিম ইংল্যান্ডের অন্তর্গত ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের হেয়ারস্টাইল অঞ্চলে হেয়ার ফোর্ড জাতের গরু দেখা যায়। কানাডা রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকাসহ সারাবিশ্বে ইংল্যান্ডের এই জাতের গরু রপ্তানি করা হয়। হেয়ার ফোর্ড দুই জাতের রয়েছে, একটি লাল জাতের, অন্যটি কালো জাতের।
আর একটি উন্নত মানের জাতের গরু ফ্রান্সের অ্যাবানড্যান্স। মাঝারি আকৃতির এই গরুগুলোর ওজন প্রায় ৭০০ কেজি হতে ৯০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। অ্যাবানডান্স সারা দেহ সোনালি ধুসর রঙের, তবে মাথা, পা ও নিচের দিকে কালো হয়ে থাকে!
ফ্রান্সের অ্যবানড্যান্সের সাদৃশ আর একটি উন্নত জাতের গরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাপ্টর। এদের দেহের রং সাধারণত কালো এবং লাল এর সংমিশ্রণে হয়ে থাকে।
জাপানি ব্লাক ক্যাটেল, স্থানীয় ভাষায় টজিমা বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি গরু প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর উচ্চতায় ১২৯ সেন্টিমিটার থেকে ১৬৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। জাপানী ব্লাক ক্যাটেলের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু। এই গরুর মাংস দিয়ে জাপানে জনপ্রিয় রেসিপি সাসেমী তৈরি করা হয়ে থাকে।
ভারতীয় উন্নত জাতের কিছু গরু রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এদের মধ্যে রয়েছে অমৃত মহল, আলম বাদী, বড়গুরু, ব্রাহ্মণ, দেওয়ানি, ঠুঙ্গি, গীর, হরীনা, জাভারি, কাঙ্গায়ন ইত্যাদি।