রাশিয়ায় কাছে ক্রিমিয়া কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
রাশিয়ার চরম বিরোধিতার পরেও কৃষ্ণসাগরের সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছি ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার থেকে শুরু হওয়া মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ৩০ টিরও বেশী রাষ্ট্র। অঞ্চলটিকে ঘিরে এবার দেখা দিয়েছে টান টানা উত্তেজনা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের একটি জাহাজকে গুলি ও বোমা ফেলার দাবি করে রাশিয়া। অভিযোগ ছিল রাশিয়ার জলসীমানায় ঢুকে
পরে জাহাজটি। তবে ঘটনাটি অস্বীকার করে যুক্তরাজ্য। এই ঘটনার মধ্যমে রাশিয়া এবং ইউক্রেন জটিলতা সামনে এসেছে।
আজ আমরা জানব, রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের চারটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের অন্যতম রাষ্ট্র ছিল ইউক্রেন। ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ইউক্রেনের এই ঘোষণা সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনে একটি বড় ভূমিকা রাখে।
এই ঘটনার মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার প্রভাব কিছুটা ক্ষিন্ন হয়। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া আবার পূর্ণ গঠন শুরু করলে এক বৈঠকে। তিনি বলেন, "আমাদের অবশ্যই ক্রিমটি রাশিয়ায় ফিরিয়ে আনা আনতে কাজ শুরু করতে হবে।"
এরই অংশ হিসেবে রাশিয়ার মদদে ইউক্রেনে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং অবশেষে ক্রিমিয়া স্বাধীনতা লাভ করে ২০১৪ সালের মার্চে। ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে ক্রিমিয়া স্বাধীনতা লাভ করলে সাথে সাথে রাশিয়া ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভ্লাদিমির পুতিনির নেতৃত্বে এই সাহসী পদক্ষেপ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির লঙ্ঘন করে যার ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে।