অষ্টম মহাদেশ জিল্যান্ডিয়া এখন মানচিত্রে


ছোটবেলা থেকে আমরা জানি পৃথিবীতে মহাদেশের সংখ্যা সাতটি। স্যাটেলাইট এবং মানব সভ্যতার এত উন্নতির পরেও আমরা কখনো ভাবি নি যে এই সংখ্যা কখনো বদলাতে পারে কারণ এখন আর সেই সময় নেই যখন ক্রিস্টোফার কলম্বাস এর মত সমুদ্র যাত্রা করা আর ভুলবশত মহাদেশ আবিস্কার করা। তবে এই প্রথমবার অষ্টম মহাদেশের সম্ভাব্য মানচিত্র সামনে নিয়ে আসেন বিজ্ঞানিরা। এই অষ্টম মহাদেশের আরো বেশ কিছু তথ্য জানায় তারা।

এই অষ্টম মহাদেশটির নাম ‘জিল্যান্ডিয়া’। বহু বছর আগে মহাদেশটি অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্রমশ সমূদ্র তলে নিমজ্জিত হতে থাকে। মহাদেশটির ৯৩% প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় ৩৮০০ ফুট গভিরে নিমজ্জিত হয় আর বাকি ৭% যা বর্তমান জিল্যান্ডিয়ার ভূখন্ডাংশ। এই ভূখন্ডাংশোর আয়তন প্রায় ৪৯,২০,০০০ বর্গ কিলোমিটার যা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অর্ধেকের বেশি। ‘লর্ড বলস’ নামে ঔ মহাদেশের একটি পাহাড় সমুদ্রের ওপরে বেড়িয়ে পরেছে যা নিমজ্জিত হওয়ার দাবিটি আরও পাকাপোক্ত করছে বিজ্ঞানীদের।

অষ্টম মহাদেশ ‘জিল্যান্ডিয়া’ নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে গবেষণা করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে গবেষণা সম্পূর্ণ হওয়ার পর ‘জিওলজিক্যাল সোসাইটি অভ আমেরিকা’ জার্নালে প্রকাশিত হয় এর খুটিনাটি তথ্য।

সম্প্রতি এই প্রথমবার আগস্ট মাসে বিজ্ঞানীরা এর সম্ভাব্য মানচিত্র প্রকাশ করেন। নিউজিল্যান্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএনএস সায়েন্স এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সেই জিএনএস সায়েন্সই অষ্টম মহাদেশের মানচিত্র প্রকাশ করেছে। একটি মহাদেশ স্বীকৃতি পেতে হলে নূন্যতম কিছু বিষয়ে গুনাবলী থাকা প্রয়োজন যেমন সমূদ্রপৃষ্ঠ হতে এর গড় উচ্চতা, সুস্পষ্ট ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট, সুনির্দিষ্ট সীমারেখা ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো আরও নিখুঁত ভাবে প্রমাণিত হলে জিল্যান্ডিয়াও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশ।


সূত্র : NRB tv, লন্ডন

প্রতিবেদক - নাফিজ করিম

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.