মাত্র এক দিনের নোটিশে কেন হারিয়ে গেল ekhanei.com
মনে আছে সেলবাজার ডট কম এর কথা?
২০০৬ সালে এই দেশে প্রথমবারের মতো এই প্লাটফর্মটি মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে সেকেন্ড হ্যান্ড দৈনন্দিন বা নিত্য ব্যবহার্য পণ্য বিক্রি করার আইডিয়া নিয়ে অনলাইনে আত্নপ্রকাশ করেছিলো। যাত্রা শুরুর মাত্র ১ বছর পর, ২০০৭ সালে সেলবাজার জিতে নেয় একাধিক আন্তজার্তিক পুরস্কার।
সে সময়ের নিরিখে কাদির সাহেবের সেই সেলবাজারের আইডিয়াটা খুবই ইউনিক, ক্রিয়েটিভ এবং ইনোভেটিভ ছিলো। [জনাব কামাল কাদির সাহেবের (বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক, বর্তমানে বিকাশের সিইও) ছোটবেলা থেকেই নাকি ইচ্ছে ছিলো একটা অনলাইন সেবাভিত্তিক খাত গড়ে তুলবেন। এই ভদ্রলোকের একাডেমিক এবং প্রফেশনাল ক্যারিয়ার অত্যন্ত বর্ণাঢ্য!]
যার ফলে কয়েক বছর পরে এর উপর চোখ পড়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি টেলিনরের। ২০১০ সালে মোটা অংকে সেলবাজারকে কিনে নেয় টেলিনর, (যদিও পরবর্তীতে টেলিনরের শেয়ার থাকে মাত্র ৩৩.৩%), সে সময় এর ইউজার বেইজ ছিল প্রায় ৪০ লাখ!
যেহেতু তখন এর নতুন মালিক ছিলো টেলিনর, সেহেতু ২০১১-১৩ ইং পর্যন্ত এটি জিপি সীম ব্যবহারীদের জন্য ভ্যালু এডেড সেবা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এর ২ বছর পর, ২০১৫ সালে এটিকে ঢালাওভাবে রিব্র্যান্ডিং করা হয় “এখানেই ডট কম” নামে।
আর এরপর থেকেই শুরু হয় এর পতন।
এখানেই ডট কমের পতনটি বাংলাদেশের ই-কমার্সের ইতিহাসে একটা ট্রাজিক একসিডেন্ট। ট্রাজিক বলছি এই কারণে যে এর পতন কখনই হবার কথা ছিলো না , কিন্তু এই কারণে একে দুর্ঘটনা বলাও হয়তো ঠিক হচ্ছে না (এর কারণ নীচে ১১ টি বুলেট পয়েন্টে বলেছি)।
এটি ট্রাজিক একসিডেন্ট বলেছি তার কারণঃ
ক) এখানেই ডট কম ছিলো দেশের অন্যতম প্রথম ই-কমার্স প্লাটফর্ম
খ) মালিক ছিলো জিপি-টেলিনরের মত প্রচন্ড শক্তিশালি ও অভিজ্ঞ কোম্পানি, ব্যবসায় হারার রেকর্ড যাদের খুবই কম।
গ) যথেষ্ঠ সময়
ঘ) যথেষ্ঠ রিসোর্স (হিউম্যান, ফিনানসিয়াল, ইনফ্রাসট্রাকচার)
ঙ) আইডিয়া ও থিংক ট্যাংক, যারা একে তুমুল গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতো।
এত দুর্দান্ত রকমের শক্ত ব্যাকাপ থাকার পরেও সার্ভিসটি দিনশেষে ঠিক কি করে মুখ থুবড়ে পড়লো, আমার আগ্রহের জায়গাটা ছিলো ঠিক সেখানেই। এই সেবাটি প্রমান করে দিয়েছে, এত এত সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও একটি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে।
যা হোক, ঐ বছরই অর্থাৎ দেশের অন্যতম সেরা এড ফার্ম এশিয়াটিক ৩৬০ কে দিয়ে টিভিসি বানিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনরাত প্রচার করা হয়, আর তার অডিও ভার্সন প্রচার করা হয় জনপ্রিয় রেডিও শোগুলোতেও!
টিভিসিতে অভিনয় করেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও এশিয়াটিকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ জাকের, এবং মডেল মারিয়া নূর। সে সময় টিভি বিনোদনের জগতে রীতিমতো একটা হাইপ তৈরী করেছিলো তাদের টিভিসি সিকুয়েলটা। আলাদা জিংগেল, আলাদা গান, আলাদা থিম, সবকিছু এখানেই ডট কমের জন্য আলাদা করে বানানো হয়েছিলো। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোন ক্লাসিফাইড এড-প্লাটফর্মের টিভিসি এত তুমুল জনপ্রিয়তা পায়নি। (কমেন্টে লিংক)
একই বছরে তৎকালীন আরেক প্রতিদ্বন্দি OLX.com এর সাথে এটিকে মার্জ করা হয়, যার প্যারেন্ট কোম্পানি NASPERS এর শেয়ার ছিলো Ekhanei.com এ। ২০১৫ সালের আগষ্ট পযন্ত এলেক্সা র্যাংকিংয়ে এটি ছিলো বাংলাদেশের টপ শপিং সাইট। আর বিজনেস ও ইকোনমি সাইটে পঞ্চম।
কিন্তু টিভিসি জনপ্রিয়তা পেলে কি হবে, সাইটে বেচাবিক্রি খুব একটা বাড়লো না। এমনকি সাইটের ট্রাফিকও যে খুব বেশী বাড়লো, তাও না। ৫ বছর আগেকার কথা বলছি, সে সময় টিভিসি যত লোকে দেখতো, তার চাইতে অনেক কম লোক নেট ব্রাউজ করতো।
তো এত বড় একটা কোম্পানি একটা ব্যাক্তিমালিকানাধীন সেবাকে কিনে নেবার পর স্বভাবতই সবাই ধারনা করেছিলো যে, সেলবাজার তথা এখানেই ডট কম আরো বিশাল পরিসরে এই দেশে কাজ করা শুরু করবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কয়েক কোটি টাকা দিয়ে রিব্রান্ডিং করা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের মে মাসে মাত্র এক দিনের নোটিশে - আই রিপিট - মাত্র ১ দিনের নোটিশে; লিটারেলি রাতারাতি “এখানেই ডট কমকে” একটি অনলাইন প্রজ্ঞাপন জারি করে বন্ধ ঘোষণা করে টেলিনর।
এই রাতারাতি বন্ধ করার বিষয়টাতে আমার কাছে বেশ খটকা লাগে। তো আমি নিজের ব্যাক্তিগত আগ্রহে মাঠে নামলাম। কিন্তু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি কেউ এর ব্যাপারে খুব বেশী কিছু জানে না। এই রহস্যজনক বিষয়টা নিয়ে কেন যেন কারোই কোন মাথা ব্যথা নেই, অনলাইন-অফলাইনের কোথাও কোন আলোচনা-সমালোচনাও নেই!
কেন এখানেই ডট কম মুখ থুবড়ে পড়লো; এত বড় একটা কোম্পানীর অধীনে থাকার পরেও, এই প্রশ্ন আমার মনে খচ খচ করতেই থাকলো। একটু একটু করে এ নিয়ে ঘাটাঘাটি ও পড়াশোনা করতে শুরু করে মুটামুটি এখানেই ডট কমের বিফলতার মূল কারণগুলো পয়েন্ট আউট করতে শুরু করলামঃ
১) ভুল জায়গায় বিজ্ঞাপনঃ আপনার ব্যবসার টিজি এক জাগায়, কিন্তু আপনার বিজ্ঞাপন চলে আরেক জাগায়, তাইলে ব্যবসা কিভাবে বাড়বে? আমার ধারনা, এখানেই ডট কম যত টাকা দিয়ে টিভিসি বানিয়েছে, তার তিন ভাগের ১ ভাগ টাকা ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, গুগল এড - এইসবে খরচ করলে কমপক্ষে তিনগুন বেশী ROI পেতো।
২) অনর্থক রিব্র্যান্ডিংঃ সেলবাজারের একটা আলাদা ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল, কাস্টমার বেইজ ছিলো। কিন্তু নতুন নাম (অনেকেই বলেছেন, নতুন নামটা কোন সেন্স মেইক করে না) আর নতুন থিমের কারণে অধিকাংশ ইউজার ভেবেছে এটা বুঝি বাজারে “সেলবাজার” এর নতুন কোন প্রতিদ্বন্ধি। ফলে একদিকে যেমন পুরনো ব্র্যান্ড ভ্যালু আর কাস্টমার বেইজ উভয়ই হারাতে হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে নতুন করে ব্র্যান্ড ভ্যালুও গড়ে উঠেনি।
কোন রকমের মার্কেট রিসার্চ বা কাস্টমার ইনসাইট ছাড়াই হুট করে এই রিব্র্যান্ডিংয়ের আইডিয়াটা যে এখানেই ডট কমের কফিনে একেবারে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েলো, তা বলাই বাহুল্য।
৩) প্রফিট রিস্কঃ অলরেডি বিপুল পরিমান ইনভেস্ট হয়ে গেছে, যেগুলো থেকে ROI কত পাওয়া যাবে কিংবা আদৌ পাওয়া যাবে কিনা, সেটা নিয়েই যেখানে কোম্পানি অনিশ্চয়তার ভেতর ছিলো, সেখানে নতুন করে আর একটা পয়সাও ইনভেস্ট না করার সিন্ধান্ত নেবার কারণেই রাতারাতি বন্ধ করে দিতে হয়েছিলো।
৪) Easier Alternative: ২০১৫ সালে ফেসবুক তাদের গ্রুপগুলোতে প্রডাক্ট সেলিং ফিচার নিয়ে আসে। বাকীটা আর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।
৫) নতুনত্বের অভাবঃ একুইজেশনের ৫ বছর পরেও তেমন কোন সার্ভিস ইনোভেশন আনতে পারেনি ”এখানেই ডট কম।” অথচ বিক্রয় ডট কম এই কাজটা চমৎকারিত্বের সাথে করেছে। কয়েক মাস পর পরেই তাদের সাইটে ঢুকলেই নিত্য নতুন সব প্রয়োজনীয় ফিচার পেতাম।
৬) ইউজার ভলিউমকে লেভারেজ করতে ব্যর্থ হওয়াঃ তৎকালীন দেশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ইন্টারনেট ইউজার ছিলো জিপির। এই বিপুল পরিমান ইউজারকে এখানেই ডট কমের ট্রাফিক/কাস্টমার বানাতে ব্যর্থ হওয়া!
৭) সঠিক খাতে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়াঃ প্রডাক্ট ও সেবার নকশা প্রণয়নে টিভিসির বাকী ২ ভাগ টাকা এই খাতে বিনিয়োগ করলে অভূতপূর্ব ফল পাওয়া যেতো। কিন্তু তা না করে তারা খামাখাই বিপুল পরিমান টাকা বিনোয়োগ করে টিভিসি বানিয়েছে যেটা থেকে উল্লেখযোগ্য কোন রিটার্ন আসেনি।
৮) কাস্টমারদের সাথে লিয়াঁজো রাখতে ব্যর্থ হওয়াঃ তারা কাস্টমার ফিডব্যাক বা কাস্টমার কমপ্লেইন গুরুত্বের সাথে দেখতো বলে মনে হয় না। ২০১৬ তে আমি নিজে UI & UX রিলেটেড ইস্যুতে কমপ্লেইন করেও কার্যকর কোন সুরাহা পাইনি। আমাকে গোজাঁমিল দেয়া সমাধান দেয়া হয়েছিলো যেটা দিয়ে ঠেকার কাজ চলে, কিন্তু স্থায়ী কোন সমাধান তারা করেনি পরবর্তী এক বছরেও। অথচ প্রায় একই কমপ্লেইনের ক্ষেত্রে আমি বিক্রয় ডট কমের কাছ থেকে সঠিক ও দ্রুততর সুরাহা পেয়েছিলাম। (এ নিয়ে পোষ্ট লিখেছিলাম, সেটার লিংক কমেন্টে দিলাম।)
৯) অদক্ষ ম্যানেজমেন্ট টিমঃ মাদার কোম্পানি ডাকসাইটে হলেও সিস্টার কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট অতটা দক্ষ ছিলো না, বলাই বাহুল্য। আমার ধারনা, সেলবাজারকে যে টিম দেখভাল করতো, অধিগ্রহণের পর তাদেরকে স্যাক করে নতুন টিম নেবার ফলে ম্যানেজমেন্ট হুমকির মুখে পড়ে। (এই ধারনার ব্যাপারে অথেনটিক ইনফো প্রয়োজন।)
কিংবা, দক্ষ টিম থাকলেও শাট ডাউনের আগে এত এত বার কোম্পানিটি বিভিন্ন রকম বদলের ভেতর দিয়ে গেছে যে, কর্মীরা হয়তো ফোকাস ঠিক রাখতে পারেনি, আর সেটাই স্বাভাবিক ছিলো।
১০) বাগযুক্ত সাইটঃ ৮ নম্বর পয়েন্টের কারণে তারা জানতো না গ্রাহকরা কি চায়, অথচ রিব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় সম্পূর্ণ নতুন আংগিকে, নতুন ডিজাইনে বাগে ভরা এক সাইট লঞ্চ করা হয়। সাইট অপটিমাইজডও করা ছিলো না ঠিকমত। অফিস এবং বাসার পিসি থেকে আমি নিজেই অনেক বার স্লো লোডিংয়ের শিকার হয়েছি।
১১) USP দিতে ব্যর্থঃ ২০১২ সালে চালু হওয়া বিক্রয় ডট কমের বেটার ইউজার ইন্টারফেস আর বেটার ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের কারণে এখানেই ডট কম প্রচুর কাস্টমার হারায়। সে তুলনায় এখানেই ডট কম তেমন কোন স্বতন্ত্র প্রোপোজিশন দিতে পারেনি, যেটা গ্রাহকের কাছে বাড়তি কোন ভ্যালু এড করতো।
আমার ধারনা, টেলিনর চাইলেই এখানেই ডট কমের পতনকে ঠেকাতে পারতো। পতন ঠেকায়নি কারণ টেলিনর ঠেকাতে চায়নি, কারণ যেটাই হোক না কেন। শুনেছি তারা এটাকে বিক্রি করে দিয়েছে ভারতের কোন এক ক্লাসিফাইড ই-প্লাটফর্মের কাছে, জানি না কতটুকু সত্যি। তবে আমি নিশ্চিত যে, বিক্রয় ডট কম শিক্ষা নিয়েছে এখানেই ডট কমের ভুলগুলো থেকে, যেটা তাদেরকে পরবর্তীতে টিকে থাকতে হেল্প করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেই সেলবাজার ডট কম বছর দুয়েক আগে আবার পুরোদমে চালু করা হয়েছে। URL এর দুয়েকটা অক্ষর হয়তো এদিক সেদিক হতে পারে অবশ্য! আমি এও জানিনা কাদির সাহেবই আবার এটা রিলঞ্চ করলেন কিনা, তবে সেই পুরনো সাধামাদা লোগো, পুরনো ব্রান্ডিং, পুরনো ওয়েব ইন্টারফেস। মালিকপক্ষ বুঝতে পেরেছে, নতুনটার চেয়ে পুরনো ব্রান্ডিংটাই বেশী কার্যকর ছিলো। তাদের নতুন এই সাইটে ঢুকতে এখানে ক্লিক করুনঃ https://goo.gl/G1KM8V
নতুন সেলবাজারকে যদি জনাব কাদির সাহেব আবার কিনে থাকেন, তবে বলতে হবে ঘরের ছেলে আবার আগের সেই পুরনো ঘরেই ফিরে গিয়েছে। বড়লোক পালক পিতার আগ্রহ হয়নি একে টিকিয়ে রাখার, তাই তার প্রকৃত পিতা তাকে আবার ঘরে ফিরিয়ে নিয়েছেন। কারণ সেলবাজার ছিলো তার ব্রেইনচাইল্ড। টেলিনরের মতো স্রেফ মুনাফা অর্জনের জন্য সে তার সন্তানকে জন্ম দেয়নি। তবে নিজের সন্তানকে অপাত্রে পালক দেয়াটা যে একটা মস্ত বড় ভুল, এই শিক্ষাটা এখনকার ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এই ঘটনা থেকে নিতে পারেন।
সেলবাজার ডট কমের ইতিহাস আমাকে মুগ্ধ ও বিস্মিত করেছে। আমি কায়মনোবাক্যে চাই, এটি আবারো ঘুরে দাড়াঁক।
বন্ধ করার ঘোষণাপত্রে টেলিনর বলেছিলো, ’বাংলাদেশের বাজার এখনো ক্লাসিফাইড মার্কেট প্লেসের জন্য তৈরী নয়।’ আমি চাই সেলবাজার প্রমান করে দেখাক যে টেলিনরের এই ধারনা ভুল ছিলো।
এই দেশের ই-কমার্স নিয়ে যদি ইতিহাস লেখা হয়, তবে হয়তো সেখানে সেলবাজার ডট কমের এই ইন্টারেষ্টিং ও শিক্ষামূলক ইতিহাসটি অবশ্যই লেখা থাকবে, এই দেশের ভবিষৎ প্রজন্ম ও তরুন ই-কমার্স উদ্যোক্তারা এর ইতিহাস পাঠ্য বইয়ে পড়বে।
(ইষৎ সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিত; প্রথম প্রকাশঃ জুলাই, ২০১৮ ইং)
লিখেছেন ; proloy Hasan
Source: Uddoktta page.