উপসাগরীয় যুদ্ধ ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

আগস্ট ২, ১৯৯০ সকাল বেলা। ইরাক- কুয়েত সীমান্ত উত্তপ্ত।সেই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়( বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব )। ইরাকি এক নায়ক সাদ্দাম হুসেইন এর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন যে কুয়েত একদিন তার দেশের নবম প্রদেশ হবে! এছাড়াও  তার ইচ্ছা ছিল উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ গুল মিলে পশ্চিমাদের উপর তেলের অবরোধ দেয়া এবং তেলের দাম বৃদ্ধি করা। কিন্তু কুয়েত তার এই প্রস্তাবে সারা দেয় নি।ব্যস যেই কথা সেই কাজ!! শুরু হল ইরাকী অভিযান।mechanized infantry, armor, আর tank unit নিয়ে ক্ষণিকের মধ্যেই কুয়েত দখল করে সাদ্দাম হুসেইন। তার স্বপ্নের প্রথম ধাপ সম্পন্ন। এখন এই অভিযানকে রাজনৈতিক বৈধতা দেয়া বাকি। কিন্তু না। সাদ্দাম হুসেইন বুঝতে পারে নি কি পরিনতি অপেক্ষা করছে। এর মাধ্যমে এই ক্রুসেডার রাষ্ট্রটি সুযোগ পেয়ে যায় সউদি আরবে তাদের প্রথম ঘাটি করার সুযোগ।"operation desert sheild" নামের এই অভিযান প্রথম পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র। সাদ্দাম হুসসেইন যাতে তেল সমৃদ্ধ কুয়েত দখল করে রাখতে না পারে সে জন্যে যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানে নামে।কিং ফাহাদ এর অনুমুতি ক্রমে যুক্তরাষ্ট্র একটি ঘাটি সউদিতে করে। এবং আন্তর্জাতিক যৌথ বাহিনী গঠনের প্রস্তুতি নেয়। "OPERATION DESERT SHEILD" পরিণত হয় "OPERATION DESERT STORM " এ।সম্মিলিত আন্তর্জাতিক বাহিনী এই অভিযানে অংশ নেয়। বাংলাদেশ এর মধ্যে অন্যতম। শুরু হল মরুভুমিতে তুমুল লড়াই। সাদ্দাম তার সু বিখ্যাত SCUD MISSILE গুলি ছুড়তে থাকে আমেরিকার ঘাটির দিকে। কিছু মিসাইল সউদিতে ও ১টি আমেরিকান ঘাঁটিতে আঘাত হানে।যুক্তরাষ্ট্র এর জবাব দেয় "TOMAHAWK " cruse missile এর মাধ্যমে। " Apache attack" হেলিকপ্টার গুলি সাদ্দামের ট্যাঙ্ক ইউনিট কে গুড়িয়ে দিতে থাকে। সে সময় উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য সংখ্যা ৫০০০০০ ছাড়িয়ে যায়।সম্মিলিত বাহিনীর আক্রমনের কাছে সাদ্দাম হুসেন হার মানতে বাধ্য হয়। ব্যপক পরিমান ইরাকী হতাহতের পর সাদ্দাম, কুয়েত থেকে তার বাহিনী সরাতে বাধ্য হয় । এই উপসাগরীয় যুদ্ধের মাধ্যমে কয়েকটা বিষয় আমরা যদি লক্ষকরি তাহলে নিরপেক্ষ ভাবে দেখতে পাই যে ১; এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার স্থায়ী সামরিক ঘাটি করার সুজুক পায় বিশেষ করে সউদি আরবে যা ক্রুসেডারদের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল । ২; মধ্যপ্রাচ্যে তেলের উপর যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রন আরোপ করে। ৩; যুক্তরাষ্ট্রের এই অবৈধ অভিযানের বৈধতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কিছু মুসলিম দেশের সৈন্যকে ব্যাবহার করে। সউদি আরব আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্যে গেড়ে বশার ১ম সুযোগ করে দিলি। সাদ্দামের বিষয় সউদি আরব ও অন্য মুসলিম নিজেরা সমাধান করতে পারতি সেই অপশন ও ছিল । কারণ অনেক আগে থেকেই মুসলিম বিশ্বে সউদি আরবের আলাদা ডিমান্ড ছিল । আর মুসলিম দেশ গুলো সম্মিলিত ভাবে ইরাক আক্রামনের প্রস্তাব দেয় কিন্ত সউদি আরবের সেই অপশন ভাল লাগে নি ! কিন্ত কুয়েত দখল করার পিছনে আরবেও উস্কানি ছিল সউদি আরব নিজে আক্রান্ত হবার মিথ্যা অজুহাত দিয়ে আমেরিকা ও পশ্চিমাদের ডেকে আনে এখন আমেরিকার ক্রীড়নক হয়ে দিন যাপন করছে এই মধ্যপ্রাচ্যের পুতুল শেখগণ।




 


Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.