Dhaka University Students Perspective On Secularism :

 


Dhaka University Students Perspective On Secularism

১.  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আপনি কি বোঝেন? কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্রধর্ম কি অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে?  কিছু বলুন। 

Actually অল্প কথায় ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বলা আমার জন্য কিছুটা কঠিন।

 ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মের প্রভাবকে দূরে রাখা বুঝায়। কিন্তুু তারপরও

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে ৫০ টি দেশ তাদের ধর্মকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ৫০ টি দেশের মধ্যে ২৭ টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।  বিশ্বে প্রায় ২০ টি দেশের রাষ্ট্র ধর্ম হচ্ছে খ্রীষ্টান। ভুটান ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্র ধর্ম হচ্ছে বৌদ্ধ। আর বিশ্বে একমাত্র ইহুদি ধর্ম হচ্ছে ইসরাইলের রাষ্ট্রধর্ম। 

।  

 ধর্মনিরপেক্ষতাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন। আপনার মতামত দিন। 

জ্বী, ধর্মনিরপেক্ষতা একটি রাষ্ট্রের জন্য সবসময়ই ইতিবাচক একটা বিষয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করাকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আইন কোন নির্দিষ্ট ধর্মের উপর নির্ভরশীল থাকেনা। এছাড়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্র কোনো ধর্মকেই পক্ষপাত করে না।

কিন্তু পক্ষান্তরে এটি একটি বামপন্থী সাম্যবাদী নীতি যা মানুষের অর্থনৈতিক বা ঐতিহ্যগত বা সামাজিক শ্রেণীগত বিভেদ বা ধাপবিন্যাসকে সমর্থন করে না। 

৩. ধর্মনিরপেক্ষতা কি বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মকে সমমর্যাদা দেয়? আপনার কি মনে হয়? 


ধর্মনিরপেক্ষতাবাদকে প্রায়শই জনগণের জীবন এবং সরকারি বিষয়াবলী থেকে ধর্মীয় শিক্ষা তথা ধর্ম ও রাজনীতি পৃথক হিসেবে দেখা হয়। তাই তত্ব অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা সকল ধর্মকে সমমর্যাদা দেওয়ার কথা। 

৪.সাম্প্রতিককালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রথম স্থানের দিকে থাকা এবং দু একজন শিক্ষকের মন্তব্য যে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন উচ্চতর মাদ্রাসায় পরিণত হচ্ছে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। উচ্চ শিক্ষা সবার জন্য উম্মুক্ত হওয়া উচিৎ, এক্ষেত্রে জাতী বা ধর্ম বিষয়ে কোন প্রশ্ন আসতে পারে না। বিষয়টি আমি একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বা গোষ্ঠীর উপর হৃন মানসিকতার প্রতিফলন হিসাবে দেখছি। 

৫.বাংলাদেশের সংবিধানে মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করা সত্বেও ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছে। এটা কি কোনো দিক থেকে আপনার কাছে সাংঘর্ষিক মনে হয়?

 

সংবিধানে মূলনীতি হিসাবে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকায় সকল ধর্মে ও গোষ্ঠীর অপর শ্রদ্ধাবোধ ও মর্যদার প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমি মনে  করি। আবার, যেহুতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ, সে দিক দিয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম বহাল থাকায় বাংলাদেশে ডানপন্থী রাজনীতির প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। 

৬. রাজনীতিবিদেরা কি প্রতিটি নির্বাচনের আগে এবং পরে সবগুলো ধর্মকেই সমানভাবে প্রাধান্য দেয়?  আপনার ভাবনা বলুন।

Actually, একটি নির্বাচনের আগে ও পরে সরকার সকল ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা। কিন্তুু বাংলাদেশের অধিকাংশ জনসংখ্যা মুসলিম হওয়ায় নির্বাচনী এজেন্ডায় ডানপন্থী প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। 

উল্লেখ্য বর্তমান বিশ্বে শুধু বাংলাদেশেই নয়, অনেক ভালো ভালো রাষ্ট্রের রাজনীতিও আমরা ডানপন্থী প্রভাব দেখতে পাই। যেমন ভারতে অধিকাংশ জনসংখ্যা হিন্দু হওয়ায়, মোদি সরকারের হিন্দু ঘেসা নীতি লক্ষণীয়। আবার সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ডানপন্থী নীতির প্রতি দুর্বল ছিলেন। ইউরোপের হিজাব বিতর্কও একটি ডানপন্থী নীতির বহিঃপ্রকাশ! 

তাই, নির্বাচনে মূলত ভোটের সংখ্যায় এগিয়ে থাকার জন্যে এবং পাবলিক সেন্টিমেন্ট ব্যাবহার করার জন্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে কতটুকু "ধর্ম নিরপেক্ষ" থাকতে পারবে সেটিও প্রশ্নের বিষয়। 

৭ পাশ্চাত্যের আধুনিকতার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার শিক্ষাব্যবস্থা একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরিতে সহায়তা করছে - উক্তিটির সাথে আপনি কি একমত?  মতামত দিন।

বাংলাদেশে সেকুলারিজম বিকাশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য ভূমিকা পালন করছে এবং এক্ষেত্রে তাদের পাশ্চাত্যের আধুনিকতার উদার শিক্ষা ব্যাবস্থা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়।

তবে এদের উদ্যেশ্যে যদি ঠিক থাকে, তবে এ বিষয়ে আমার কোন আপত্তি থাকার কথা না।

একটা বিষয় লক্ষনীয় যে, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকে অর্থাৎ প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ প্রর্যন্ত পৃথিবীর অনেক স্থানেই ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism) জনপ্রিয়তা পেতে থাকে আর রাজতন্ত্র অকেজো হতে থাকে। রাজতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যেতে থাকে, কারণ রাজতন্ত্র কামীদের  ক্ষমতা অপব্যবহার (Abuse of power) করত, যেমন ফ্রান্সের বাস্তিল দুর্গের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কিন্তুু ফরাসি বিপ্লবের গণতন্ত্রকামীরাও অকারণে ফ্রান্সের রাজ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের নির্যাতন করত, এমন কি হত্যাও করত। যেমন চার্লস ডিকেন্সের বিখ্যাত নোবেল A tale of two cities এ, ফ্রান্সের সেকুলারিজমদের অন্যায়ের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। যে ক্ষমতার অপব্যবহার রাজতন্ত্রকামীরা করত, সেই একই অপব্যাবহার ফ্রান্স বিপ্লবের পর গণতন্ত্রকামীরাও করেছেন। 

অর্থাৎ, Evil returns evil. দিন শেষে আমরা শয়তানকেই পোশ্রয় দিচ্ছি এবং মানবতা ও বাস্তবতাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছি। 

সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পশ্চিমা শিক্ষা ব্যাবস্থা কোন চরমপন্থা অবলম্বন না করলে এবং এর উদ্যেশ্যে

No comments

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.