আটলান্টিক মহাসাগরে দানব: পরিবর্তন করতে পারে মহাদেশগুলোর অবস্থান

 



আটলান্টিক মহাসাগর একটা ‘দানব’ মাথা তুলতে শুরু করেছে। কি সেই দানব?  মহাসাগরের নীচ থেকে  দানব শিলাখণ্ডটি ধীরে ধীরে মাথা তুলছে। 

যার ফলে গবেষকরা ধারণা করছেন, এই দৈত্যাকার শিলাখণ্ডটিই এক দিন আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দুই আমেরিকা মহাদেশের ভূগোল পরিবর্তন করে ফেলবে। আফ্রিকা ও ইউরোপ, এ দু’টি মহাদেশ পরস্পর দূরে সরে  যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।  দুই আমেরিকা তথা দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকাও পরস্পর দূরে সরে যাবে। 

এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ।  গবেষকরা এই শিলাখণ্ডটির খোঁজ পেয়েছেন সমুদ্রের তলদেশের ৬০০ কিলোমিটার নীচে।

বিজ্ঞানীরা এইটা জানেন যে আফ্রিকা ও ইউরোপ দু’টি মহাদেশই পরস্পর দূরে সরে যাচ্ছে। দুই আমেরিকা মহাদেশেও এমনটি হচ্ছে।  মহাদেশগুলির নীচে থাকা টেকটনিক প্লেটগুলি একে অন্যের থেকে দ্রুত দূরে সরে যাওয়ার ফলে এমনটি হয় বলে জানান তারা। 

এই দূরে সরে যাওয়ার গতিবেগ কিন্তু কম নয়। বছরে কয়েক সেন্টিমিটার করে। কেন গতিবেগ এতটা, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই ভাবাচ্ছিল ভূকম্পবিদদের মনে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে ২০২১ সালে খোঁজ মেলা এই শিলাখণ্ডটিই এ বার যাবতীয় প্রশ্নের সমাধান দিতে পারে। এই শিলাখণ্ডটিই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাকে এবং আফ্রিকা ও ইউরোপকে আরও দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

গবেষকরা জানিয়েছেন এই দৈত্যাকার শিলাখণ্ডটি জেগে উঠছে আটলান্টিক মহাসাগরের খুব গভিরে। পৃথিবীর ম্যান্টলের কয়েকশো কিলোমিটার গভীর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে সে। এই দৈত্যাকার শিলাখণ্ডটিই ভবিষ্যৎ এ বিশ্ব মানচিত্রের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।


Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.