ভিয়েতনামের হা লং উপসাগর: এক অনন্য ঔতিহ্যবাহী স্থান

 





ভিয়েতনামে এক ব্যাতিক্রমি স্থান হচ্ছে  হা লং উপসাগর। ১৯৯৪ সালে ইউনোস্ক হা লং উপসাগরকে বিশ্বের অনন্য ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। 


উপসাগরটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর পানি স্বচ্ছ সবুজ এবং এর  মধ্যে ছোট ছোট  দ্বীপ রয়েছে।  প্রায় ১৫৫৩ বর্গকিলোমিটারের উপসাগরটি ভিয়েতনামের হা লং শহরের  নামানুসারে রাখা হয়েছে। 

উপসাগরটিতে ছোট ছোট প্রায় দুই হাজার দ্বিপ আবিস্কৃত হয়েছে। দ্বীপগুলো চুনাপাথরে গঠিত।  এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুইটি দ্বীপ হলো তুয়ানচাউ ও কাটবা। 

বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে অঞ্চলটিতে  প্রায় ৫০ কোটি বছর আগে চুনাপাথর সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো হা লং উপসাগরের দ্বীপেগুলোতে ছোট বড় অনেক গুহার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে । এদের মধ্যে আবিস্কার হওয়া সবচেয়ে বড় গুহার নাম সাঙ্গ সট। 


 ভিয়েতনামি ভাষায় সাঙ্গ সটের অর্থ হল আশ্চর্য গুহা। গুহাটির মধ্যে বিশেষ রকমের কারুকাজ দেখা যায়। এই দূর্গোম গুহার ভিতর দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ গুলো কারা সম্পূর্ণ করেছে, তা এখনো অজানা।


 বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে দশ হাজার বছর পূর্বে অঞ্চলটিতে মানব বসতি গড়ে উঠতে পারে।


 বর্তমানেও হা লং উপসাগরে চারটি ভাসমান গ্রাম রয়েছে।  ভাসমান গ্রামগুলোর জনসংখ্যা প্রায় দুই হাজারের মত হবে। এরা সবাই মৎস্যজীবী।  হা লং উপসাগর থেকে মাছ শিকার করে তারা জীবিকা নির্ধারণ করে। 


 শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, হা লং উপসাগর অনন্য জীব বৈচিত্রে ঘেরা। সাগরটিতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে।  এছাড়া দ্বীপটিতে ১৪ প্রজাতির ফুল রয়েছে। অত্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে হা লং উপসাগরের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় প্রতিবছর সারাবিশ্ব হতে প্রায় ২৫ লক্ষ পর্যটক অঞ্চলটিতে বেড়াতে আসে। পর্যটকদের জন্যে মাছ ধরা, বোট রাইডিং সহ বিভিন্ন সুব্যবস্থা রয়েছে।


Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.