শিশুর প্রতিপালন ও ইসলাম
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। একটি শিশুকে সঠিক মানুষ ও সুশিক্ষিত করতে দরকার পরিকল্পিত শিক্ষা আর প্রশিক্ষণ।
সঠিক শিক্ষার অভাবে সামাজে বিশিঙ্খলা ও নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই, ব্যাক্তি ও সামজিক পর্যায়ে সঠিক শিক্ষার গুরুত্বের অন্ত নেই।
পূর্ণাঙ্গ ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম জীবনের সব ক্ষেত্রের মত এক্ষেত্রেও দিয়েছে কিছু জরুরি দিক-নির্দেশনা।
একজন দার্শনিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল মানুষের প্রশিক্ষণ কখন থেকে শুরু করা উচিত? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, শিশুর জন্মের বিশ বছর আগে। আর এতেও যদি লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে আরো আগে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করতে হবে।
মহান আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন সবচেয়ে সুন্দর আকৃতি। মাতৃগর্ভ থেকেই সে পেয়েছে মস্তিস্ক, বুদ্ধিমত্তা, চোখ, নাক, কান, হাত-পা, অনুভূতি ইত্যাদি। যে করুণাময় আল্লাহ এতকিছু দিলেন তিনি মানুষের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক উন্নতির কোনো ব্যবস্থা করেননি-এটা কি হতে পারে? সন্তানের স্বভাব ও অনুভূতির ওপর বাবা-মায়ের অভ্যাস ও আচরণের অনেক প্রভাব পড়ে। তাই সুসন্তান গড়ে তোলার জন্য আগে দরকার উন্নত নৈতিক চরিত্রের বাবা ও মা হওয়া।
ইসলাম শিশুর প্রতিপালনে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে বলেছে। তা হলো—
* ঈমানি শিক্ষা নিশ্চিত করা
* চারিত্রিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
* বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নিশ্চিত করা
* শারীরিক সুস্থতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা
* মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা
* সামাজিক শিক্ষা তথা সামাজিকীকরণ নিশ্চিত করা
সন্তানের অধিকার প্রসঙ্গে মহানবীর পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য ইমাম সাজ্জাদ (আ) বলেছেন, সন্তানের অধিকার প্রসঙ্গে জেনে রাখ যে সে তোমার থেকে এসেছে এবং এ বিশ্বের ভালো ও মন্দের ক্ষেত্রে সে তোমার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই অভিভাবক হিসেবে তোমার দায়িত্ব হল সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়া বা সঠিক শিক্ষাগুলো ও কল্যাণকর বিষয়গুলো শেখানো।
এইসব দায়িত্ব পালন করলে তুমি পুরস্কৃত হবে। আর এসব দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে শাস্তি পাবে। তার আখেরাতের বিষয়েও এমন সচেষ্ট হও যাতে মহান প্রতিপালকের কাছে লজ্জিত হতে না হয়।