ইন্দো- প্যাসিফিক বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল

 



প্রশান্ত মহাসাগরে সাথে বাণিজ্যিকভাবে  সম্পর্কিত রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল গঠিত। যুক্তরাষ্ট্রে বৈদেশিক নীতি ও সম্পর্ক প্রণায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল। 

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতির প্রায় ৬০% নিয়ন্ত্রণ করবে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে চীন,  ইন্ডিয়া, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান। এছাড়া ছোট-বড় আরো অনেক রাষ্ট্র রয়েছে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে। 

ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাষ্ট্র হচ্ছে চীন এবং ভারত। চীন ও ভারত ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের ৫০% অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। 

ভারত বিভিন্ন দেশ থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগ কে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তারা তাদের রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া ভারতে কাজ করার জন্য উপযুক্ত বয়সের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনসংখ্যা রয়েছে। 

ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো যেভাবে তাদের অর্থনীতি ত্বরান্বিত করছে। এই ধারা বজায় থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মানুষের আয় ক্ষমতা প্রতিদিন প্রায় ১১০ ডলার পর্যন্ত হবে। 

ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম রাষ্ট্র চীন উৎপাদনের দিক থেকে অনেক অগ্রসর। বেইজিং, সাঙগাই, সেনজেন, তিয়ানজিঙের মত মেগাসিটিগুলো খুবই উৎপাদনশীল। কম্পিউটার ও মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক পণ্যের সেমিকন্ডাক্টর,  পেট্রোকেমিক্যাল সহ বিভিন্ন পণ্য চীনের এসব মেগাসিটি থেকে সারাবিশ্বে ম্যানুফেকচার করা হয়। 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো অধিকসংখ্যক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা রয়েছে।  পুরো বিশ্বে যে পরিমাণ মোবাইল ট্রানজেকশন হয় তার ৪০% চীনে সম্পূর্ণ হয়।  এছাড়া ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের কোরিয়া,  জাপান, তাইওয়ান ও চীন বেশকিছু প্রযুক্তিতে অগ্রসর রয়েছে।  চলচ্চিত্রশিল্পেরও যথেষ্ট প্রগাঢ়তা রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে। 

তবে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো যথষ্ঠ অগ্রগতি থাকলেও এই অঞ্চলের শক্তির ভারসাম্য এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ট্রানসাটলান্টিক সম্পর্ক যতটা স্বাভাবিক, তবে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো হোচট খেয়েছে,   বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে। বরাবর, শক্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে তিব্র প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এছাড়া, এই অঞ্চলে বেশ কিছু সীমানা বিরোধ রয়েছে।

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.