5G প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকবে না বাংলাদেশ: টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

 


ডাক, তথ্য ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করবে ।

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিশ্ব যখন ফাইভ-জি  প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে থাকে, ঠিক সে-বছরেই বাংলাদেশ এই প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করে।

মন্ত্রী বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত তিন বছরে ফাইভ-জি প্রযুক্তির নীতিমালা প্রণয়ন ও এর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণ করেই বাংলাদেশ ফাইভ জি যুগে প্রবশের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।

টিআরএনবি আয়োজিত ‘ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন,‘ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে আমাদের জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো।

এই প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরোতেই সীমাবদ্ধ থাকবে  না বলেও তিনি জানান।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার ফাইভ জি প্রযুক্তি চালুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সকল অংশীজনকে সাথে নিয়ে ফাইভজি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রী বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি হচ্ছে একটি শিল্প পণ্য। আগামী দিনের প্রযুক্তি এআই, রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটা কিংবা ব্লকচেনের যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান কিংবা মৎস্য ও কৃষির জন্য ফাইভ জি অপরিহার্য। এমনকি শিল্প কারখানায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ফাইভ-জি ছাড়া বিনিয়োগ করবে না। এ লক্ষে প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক জোনে ফাইভ-জি সংযোগ প্রদানের জন্য বিটিসিএল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান তিনি

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.