ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অগ্রযাত্রা এবং এর শ্রমবিভাগের পদসংখ্যা।





ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বর্তমানে বিকাশমান একটি শিল্প। এটি তথ্যগ্রহণের জন্য অনেক শক্তিশালী মাধ্যম। এটি বিনোদন, তথ্য ও যোগাযোগে এক নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নয়ন করেছে।



একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো প্রকৃতপক্ষে জনগণের আকাঙ্ক্ষার চেয়েও বেশি অবদান রাখছে। তাদের কোম্পানিগুলোর বাজার সম্প্রসারণ, তাদের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির বিস্তার এবং তাদের রাজনৈতিক ভাবধারা বিশ্বের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তে কার্যকরী ভাবে তুলে ধরছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতও প্রায় ১০০ এর উপর স্যাটেলাইট টিভি তাদের সংস্কৃতি ও ঔতিহ্যকে অন্য সব দেশে কার্যকরী ভাবে তুলে ধরছে।



তাই বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসী প্রভাব ঠেকাতে এবং নিজের দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ পুরো বিশ্বে তুলে ধরতে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বাড়ানো ও এর উন্নায়ন অতান্ত্য জরুরী। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বি.টি.ভি। ১৯৯৬ এর আগে বাংলাদেশে কোন বেসরকারী টেলিভিশন ছিলো না। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ATN bangla. এর পর একে একে বর্তমানে বাংলাদেশে নিবিন্ধিত টেলিভিশনের সংখ্যা প্রায় ৪০ টি।



এদিকে অনেক টিভি চ্যানেল যা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া লাইসেন্সের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। এইগুলো হল ঢাকা টেলিফিল্ম, টেলিবাংলা, টিভি বাংলা, বাংলা টেলিভিশন, বাংলাদেশ চ্যানেল ইউ.এস.এ, বাংলা টিভি লন্ডন, ভিশাল মাল্টিমিডিয়া, ভিশাল মিউজিক, ড্যাফোডিল মাল্টিমিডিয়া, ম্যাক্সেল মাল্টিমিডিয়া, মিডিয়া ওয়ান , কেটিভি, ডেভলপমেন্ট মিডিয়া টিভি চ্যানেল, লিভার্টি টেলিভিশন, জনতা টেলিভিশন, প্রবাসী টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, ন্যাশনাল টেলিভিশন, টেলিফিল্ম, সোনালী টেলিভিশন, মুভি টন মিডিয়া কমোনিকিউশন, ন্যাশনওয়াইড কমোনিকিউশন, বিজয় ব্রডকাস্টিং ইউনিভিশন, গাজি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, সাস ওয়ার্ড ইত্যাদি। ইউ-টিভি ও জে - টিভি অনুমোদন পাওয়ার এক বসর পরেও ব্রডকাষ্ট করতে ব্যার্থ হয়।



সুতরাং ভবিষ্যৎ এ বাংলাদেশে মিডিয়া মার্কেটের বিস্তৃতি পাচ্ছে। এই টিভি গুলো অনুমোদন পেলে এক দিকে যেমন এর বাজারের বিস্তার হবে অন্যদিকে অনেক শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হবে। তবে বাংলাদেশে মিডিয়ায় বিনোয়গের ক্ষেত্রে বৃহৎ কর্পোরেট গ্রুপ গুলোর মনোযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহৎ কর্পোরেট গ্রুপের তত্ত্বাবধানে মিডিয়া পরিচালিত হলে জনগণের সার্বিক স্বার্থের চেয়ে তাদের ব্যাবসায়িক স্বার্থ হাসিল করার সম্ভবনা থাকে।



উন্নত দেশে গণতন্ত্রের চর্চা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে মিডিয়া এবং সরকার অভিন্ন ভাবে কাজ করে থাকে যা জনগণের কল্যাণে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো সরকার কর্তৃক নানা নীতি ও আইনের প্রতি লক্ষ রেখে চলতে হয় বলে মিডিয়াগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।




একটি ইলেক্টিক মিডিয়া হাউজে ৩৫ থেকে ৪০ টা পদে জনবল কাজ করে থাকে। তাই যে কোন নতুন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে নিম্নলিখিত পদগুলো ব্যাপারে ভাবতে হয়। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে হলে এবং একটি মানসম্মত মিডিয়া হাউজে উক্ত পদগুলো সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমেই মিডিয়া যাত্রা করে থাকে।



উন্নত দেশে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ভিত্তিক বিশেষ চ্যানেল পরিচালিত হলেও বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো নিউজ, প্রোগ্রাম, মিউজিক, সিরিয়াল ইত্যাদি প্রায় সব ধরণের কাজ একই চ্যানেল করতে দেখা যায়। তাই বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে চার ক্যাটাগরির অভিজ্ঞ জনবলের দরকার হয়। যে কোন মানসম্মত মিডিয়াই এই চার ক্যাটাগরির শ্রমবিভাগ তৈরি করে থাকে। তবে মিডিয়াভেদে এর ভিন্নতা দেখা যেতে পারে।


আর যারা নতুন মিডিয়া হাউস দিচ্ছেন তাদের এই চারটি সেকশন নিয়ে চিন্তা করবেন। নতুন মিডিয়া হাউজ গুলো হয়ত প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া হাউজের মত এত পদসংখ্যা সৃষ্টি করতে পারবেন না। তবে অবশ্যই তাদের অনেক সূক্ষ্মতর সাথে ধিরে ধিরে এগিয়ে যেতে হবে।


একটি মিডিয়া হাউজের শ্রমবিভাগগুলো নিচে ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হল :-



(ক) নিউজ

বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া নিউজ নিয়ে কাজ করে। এতে চ্যানেল সহজেই পরিচিত লাভ করে। মানসম্মত ও গ্রহণযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে চ্যানেলের গ্রহণযোগ্যতা পায়। তাই নিউজ বিভাগে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জনবল নিয়োগ দিতে হয়।

নিউজ নিয়ে যারা কাজ করেন তারা সাংবাদিক। সাংবাদিকতা একটি ক্রিয়েটিভ পেশা। তাই যারা সাংবাদিকতা বিষয়ে ধৈর্য রাখে এবং এই বিষয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।

সাংবাদিকতা করতে হলে যে জার্নালিজম বিষয়েই অনার্স বা আন্ডার গ্রাজুয়েট ধারি হওয়া প্রয়োজন এমনটি নয়। এক্ষেত্রে উত্তম উধাহরণ চ্যানেল আইয়ের জনপ্রিয় জার্নালিস্ট শাইখ সিরাজ যিনি লেখাপড়া করেছেন ভূগোল বিষয়ে কিন্তুু কাজ করছেন কৃষি বিষয়ে। এরকম আরও অসংখ্য উধাহরণ খুজেঁ পাওয়া যাবে।

   তাই এইভাবে বিচক্ষণতার সাথে জনবল নিয়োগ দিতে হয় নইলে নব্য মিডিয়া হাউজ ইউ টিভি এবং জে টিভির মত লসের বস্তা নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। এই দুইটি টিভির কার্যক্রম বন্ধ ও ব্যার্থ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায় তারা জনবল নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সাংবাদিকতার আন্ডার গ্রাজুয়েট নামধারি লেজুরবৃত্ত  লোকবল নিয়োগ দিয়েছিল যারা প্রকৃতপক্ষে অহেতুক টাকা চাহিদা করতো কিন্তুু চাহিদা অনুযায়ী কোন কাজ দেখাইতে পারত না। তাই টিভি অনুমোদন পাওয়ার এক বসর পরেও তারা ব্রডকাষ্ট করতে ব্যার্থ হয়। 

              

              নিচে নিউজ বিভাগের পদগুলো তুলে ধরা হল। 

              

  ( চ্যানেলভেদে পদ সংখ্যা কম বা বেশী হতে পারে)

  

১. হেড হফ নিউজ,

২. নিউজ এডিটর

৩. অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর

৪. চিফ রিপোর্টার

৫. স্পেশাল করেস্পন্ডেন্স 

৬. সিনিয়র রিপোর্টার

৭. ব্যুরো চিফ (  ৮ বিভাগ )

৮. রিপোর্টার

৯. ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট 

১০. উপজেলা করসপন্ডেন্ট

১১. ইসক্রল ইডিটর 

১৩. নিউজ প্রেজেন্টার

১৪. প্রেজেন্টার

১৫. নিউজ রুম স্টাফ 


(খ) প্রোগ্রাম


টেলিভিশনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে প্রোগ্রাম। মানসম্মত প্রোগ্রামের মাধ্যমেই একটি চ্যানেল আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সহ কোটি কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে। একটি চ্যানেলের এটিই সর্বোচ্চ সার্থকতা। কারণ এমন হলে সেই চ্যানেলের বা প্রোগ্রামের স্পন্সর কোম্পানির অভাব হয় না।


   বাংলাদেশর জনপ্রিয় টিভি প্রোগ্রামগুলো হানিফ সংকেত পরিচালিত ইত্যাদি, সৈয়দ মনির খসরু পরিচালিত সময়ের কথা, জিল্লুর রহমান পরিচালিত তৃতীয় মাত্রা, শাইখ সিরাজ পরিচালিত হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। এছাড়া বৈশাখি টিভির গ্লামার গাইড, জাগ্রত অহংকার, হৃদয়ে জুম্মাবার, ডিবিসি টিভির রাজকাহন, দেশ টিভির বেলা অবেলা সারাবেলা, কল্পলোকের গল্পকথা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ, আই টেক, আই ড্রাইভ  ইত্যাদি অসংখ্য টিভি প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়। 


তাই প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্টের জন্য দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হয়। মিডিয়া হাউজে প্রোগ্রাম শ্রমবিভাগে নিম্নলিখিত পদে কাজ করার সুযোগ রয়েছে  :-


( চ্যানেলভেদে পদ সংখ্যা কম বা বেশী হতে পারে)

       

১। হেড হফ প্রোগ্রাম,

২। এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম প্রোডিওসার

৩। সিনিয়র প্রোগ্রাম প্রোডিওসার

৪। প্রোগ্রাম প্রোডিওসার

৫। হেড হফ গ্রাফিক্স 

৬। গ্রাফিক্স ডিজাইনার 

৭। প্রডাকশন ম্যানেজার 

৮। আ্যাসিট্যান্ট প্রডাকশন ম্যানেজার। 

৯। প্রোগ্রাম কো - অর্ডিনেটর। 

১০। প্রোগ্রাম এডিটর 

১১। সেট ডিজাইনার 

১২। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেট ডিজাইনার 





এছাড়া মিডিয়া হাউজ গুলো বিভিন্ন নাটক, সিনেমা, টেলিফিল্ম পরিবেশন করে। বাংলাদেশের মোশন পিকচার ভিত্তিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম গ্রুপ। এটি বাংলাদেশের বিকল্প ধারার চলচিত্রও তৈরি করে থাকে। জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানের প্রয়োজনা কম্পানি পুষ্পিতা ভিউজুয়ালস যা নাটক এবং মিডিয়া সম্পৃক্ত পণ্য তৈরি করে আসছে। এরূপ আর একটি নব্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান 'সি-তে সিনেমা' যার প্রযোজক জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এই রকম আরও অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে যারা টেলিভিশন নাটক, টেলিফিল্ম ও চলচিত্র তৈরি করে থাকে। 



(গ) এডমিন এড ফাইন্যান্স :


             যে কোন প্রতিষ্ঠানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এই বিভাগের উপর ভিত্তি করেই অনান্য  বিভাগের পদ সংখ্যা নির্ভর করে। অর্থাৎ যে কোন কিছু পরিচালনা করার জন্য ফাইন্যান্স দরকার আর সেই ফাইন্যান্স নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই দক্ষ লোক দরকার কারণ দিন শেষে তাকেই লাভের অংক করতে হয়। কারণ চ্যানেলের মালিক পক্ষ এদেরকেই  চাপ দিয়ে থাকেন যাবতীয় কর্মকান্ডের জন্য। তাই কোন বিভাগে কত টাকা দেওয়া প্রয়োজন - এর একটি পরিকল্পনা প্রণায়ন এবং এর সাপেক্ষে প্রতিটি বিভাগে সেই অনুযায়ী কাজের তদারকি করে যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে এডমিন ও ফাইন্যান্স অফিসার। তাই এডমিন ও ফাইন্যান্স অফিসার অত্যন্ত বিস্বস্ত হওয়া প্রয়োজন। সাধারণত মালিক পক্ষের আপনজন ও কাছের মানুষেই এই বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। 


এডমিন এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের পদসংখ্যা নিচে দেওয়া হল :-


১। হেড অফ এডমিন এন্ড ফাইনান্স

২। এডমিন অফিসার

৩। সহকারী এডমিন অফিসার 

৪। একাউন্টস অফিসার 


(ঘ) ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার


        ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হাউজের একটি টেকনিক্যাল শাখা বা বিভাগ। এই শাখা নিয়ন্ত্রণ বা দেখাশোনা করেন একজন ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার। ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার মূলত ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারের একটি শাখা যা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তথ্য প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে। বাংলাদেশে ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারের সংকট রয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ইলেক্ট্রনিক এন্ড ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগ থাকলেও ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করা হয় না বা এই সেক্টরে দক্ষ হয়ে উঠার কোন উপায় নেই। তাই মিডিয়া হাউজ গুলোতে এই বিষয়ে দক্ষ লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে কানাডা, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, জার্মানি  অথবা অন্য কোন দেশ থেকে ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর গ্রাজুয়েশন বা ডিপ্লোমা করা আছে কি না। অবশ্য বাংলাদেশেই বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় সংগঠনের স্ব-উদ্যোগে নেটওয়ার্কিং বা এইসব সম্পৃক্ত অনেক শর্ট কোর্সের ব্যাবস্থা আছে। কিন্তুু কোর্স গুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।



এই বিভাগে যে যে পদে লোকবলের প্রয়োজন হয় :-


১। ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার

২। ইনচার্জ ভিডিও এডিটর 




আমাদের মিডিয়া হাউজ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে সামনে যে যে বিষয় উপস্থাপন করা হবে  :-


১। টিভি নিউজ প্রেজেন্টেশন

২। টিভি নিউজ রিপোর্টিং

৩। পাবলিক রিলেশনস এন্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন

৪। টিভি ক্যামেরা অপারেশন

৫। ফটোগ্রাফি এন্ড ফটো জার্নালিজম

৬। ডিজিটাল ভিডিও এডিটিং 

৭। ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভলপমেন্ট 

৮। গ্রাফিক্স ডিজাইন 

৯। জেনারেল কম্পিউটার এপ্লিকেশন

১০। টিভি নিউজ প্রেজেন্টেশন এন্ড রিপোর্টিং ফর চিন্ড্রেন।

১১। স্পোকেন এন্ড রাইটিং ইংলিশ 

১২। টিভি প্রোগ্রাম প্রেজেন্টেশন ( এনকরিং)

১৩। থ্রি ডি মডেলিং 

১৪। টিভি প্রোগ্রাম প্রোডাকশন

১৫। স্টান্ডার্ড বাংলা প্রোনানছেইশন 

১৬। স্কিপ্ট রাইটিং ( নিউজ এন্ড প্রোগ্রাম এনকরিং)

১৭। ইংলিশ ফর বিজনেস এন্ড মার্কেটিং 

১৮। পাবলিক স্পিকিং

১৯। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট 

২০। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। 








Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.